"ফরওয়ার্ড ব্লক "
এই নামটি কিসের নাম তা হয়তো ভুলে যাবে তিন দশক পরের প্রজন্ম । রয়ে যাবে পার্টি অফিসের সামনের চা , ঝালমুড়ি, চপের দোকান গুলি । দুই দশক পরের প্রজন্মকে 'ফরওয়ার্ড ব্লক ' কী ? প্রশ্নটি করলে দেখা যাবে একটি বিরাট হা কিংবা উত্তর হিসাবে বলবে চা ঝালমুড়ির দোকান ।
তবে আজকের এই প্রতিবেদন ফরওয়ার্ড ব্লক নিয়ে নয় । আজকের এই প্রতিবেদন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রতিষ্ঠা করা রয়েল বেঙ্গল টাইগার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু স্মরণে ।
২০১৪ সালে কংগ্রেসের শাসন অবসান ঘটিয়ে এক বিশাল ভারতীয় জনমত শাসকের আসনে বসায় মোদীকে । না এই মোদী নীরব মোদী নয় , এই মোদী নরেন্দ্র মোদী । তিনি ভারতের সর্বেসর্বা তথা প্রধান মন্ত্রী হওয়ার পর ভারতীয়রা সাক্ষী নানান পরিবর্তনের এক কথায় মাস্টারস্ট্রোক ।
২০১৬ সালে ভারতীয়রা স্বাধীনতার পর দ্বিতীয় বার সম্মুখীন হয় নোট বাতিলের । ৫০০ আর ১০০০ এর নোট বাতিলের পর নতুন ৫০০ আর ২০০০ টাকার নোট চালু হয় । তখনই এক বুদ্ধিজীবি মহলের ধারণা ছিল হয়তো নোট থেকে এবার গান্ধীজিকে সরানো হতে পারে । তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি । নোটের উপর রয়ে গেছেন গান্ধীজি ।
' নোট ' এমন এক বস্তুর নাম যা অমর সেই সূত্র ধরে গান্ধীজিও অমর হয়ে রয়েছিলেন , আছেন, এবং হয়তো থাকবেন । এই ব্যাপারে আমার কোনো সমস্যা বা অভিযোগ নেই ।
কিন্তু অভিযোগের জায়গাটা হলো অন্য । পরাধীন ভারতের ইতিহাস খুললে চোখে পড়ে বাঙালি জাতির প্রতি ব্রিটিশদের ভয় । এই ভয়ে ব্রিটিশদের তৎকালীন রাজধানী কোলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তর তেমনি চোখে পড়ে সুভাষ চন্দ্র বসুর বীরত্ব ও আত্মত্যাগের ইতিহাস । যা শুধু বইয়ের পাতা বন্দি হয়েই রয়েছে ।
সুভাষ চন্দ্র বসুর আত্মত্যাগের কথা ও বীরত্বের কথা শেষ হওয়ার নয় । তবুও আজ তিনি হারিয়ে যাচ্ছেন বাঙালির মন থেকে । আজ আমরা তাকে অন্য কারো মধ্যে খুঁজে বেড়াই । আমরা তার সমতুল্য রাজনৈতিক নেতার খোঁজে মত্ত । আমাদের জানা উচিত একজন রাজনৈতিক নেতা ও একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী যিনি যুদ্ধ ক্ষেত্রে অমর হয়েছেন দুইজন একই নয় ।
অদূর সময়ে ভারতবাসী আবার নোটের পরিবর্তন দেখতে চলেছে । এবার ভারতীয় নোটে মহাত্মা গান্ধীর একচ্ছত্র অবস্থান আশঙ্কায় আছে । শোনা যাচ্ছে স্থান পেতে পারেন একজন বাঙালি তথা ভারতের প্রথম নোবেল জয়ী পুরুষ কবিগুরু বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ভারতের রাষ্ট্রপতি তথা মিসাইল ম্যান ডঃ এ পি জে আব্দুল কালাম । পুরো বিষয়টাই এখনো Reserve Bank Of India এর চিন্তাভাবনার স্তরে আছে ।.....এই নোটের স্যাম্পেল দিল্লি IIT এর অধ্যাপক Dilip Sahani এর কাছে পাঠানো হয়েছে ।
অর্থাৎ আবারো উপেক্ষিত নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নাম । বাঙালি হিসাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্ববাসীর কাছে ভারতবর্ষের নাম উজ্জ্বল করলেও স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর স্থান ভারতীয় নোটে বেশি মর্যাদা সম্পন্ন হতে পারত । তবে বাঙালি হিসাবে কাকুতি মিনতি করে নোটের কোনো এক কোণে নেতাজির স্থানের দাবি নয় জাতির জনক গান্ধীজি এর সমকক্ষ করে নেতাজির স্থান ভারতীয় নোটে রাখার দাবি প্রতিটি বাঙালির হওয়া উচিত ।
দৌলতাবাদ, মুর্শিদাবাদ