দুর্বলতা কাটাতে রাসুল সাঃ এই খাবার খেতে বলেছেন ~ jotosob.in


রাসূল (সাঃ) শারীরিক দুর্বলতাকে কাটাতে এবং দ্রুত স্বাস্থ্যবান হতে এই তিনটি খাবারকে একসাথে খেতে বলেছেন ।



বর্তমান বিজ্ঞান গবেষণা করে দেখেছে এই তিনটি খাবার একসাথে খেলে মানুষের শরীর থেকে স্থায়ীভাবে দুর্বলতা দূর হয়ে যায়। এবং খুব অল্প সময়ে সে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয় । তার শরীরে কোনো চর্বি থাকে না কিন্তু ভালো মাসেল তৈরী হয়। যেটা তাকে কঠোর পরিশ্রমী হতে সাহায্য করে। 

এই খাবার নিয়মিত খেলে কঠোর পরিশ্রম করলেও আপনি দুর্বল অনুভব করবেন না ।আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর হাদিস থেকেও এটা প্রমাণিত । ইবনে মাজাহর ৩৩২৫ নম্বর হাদিসে রয়েছে, রাসূল (সাঃ) শসা এবং খেজুর এক সাথে খেতেন। 

আজকে আমরা জানাবো কোন প্রক্রিয়ায় আপনারা এ দুটি খাবার সাথে চাইলে দই-কেও যুক্ত করে কিভাবে খেলে অতিদ্রুত শারীরিকভাবে ফিট হবেন, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন এবং আপনার শরীরের দুর্বলতা স্থায়ীভাবে দূর হয়ে যাবে ।

গবেষণা বলছে, শসায় থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন- A, B, C এবং K । আরও আছে মিনারেল-ম্যাংগানিজ, পটাসিয়াম, কপার। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শসায় রয়েছে পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।শরীরের বিভিন্ন ধরণের রোগের বিরুদ্ধে সরাসরি কাজ করে শসা।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে নিশ্চিত হয়েছেন যে, শসা ব্রেস্ট, ইউটারাস,প্রোস্টেইট, ওভারিয়ান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। হজমে সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে ভুমিকা রাখে। কিন্তু শসার সাথে যখন খেজুর খাবেন তখন কিন্তু আপনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ার পাশাপাশি আপনার শরীর থেকে দুর্বলতা চলে যাবে । কিন্তু আপনার শরীরে চর্বি থাকবে না মাসেল তৈরী হবে। এমনকি রোদেপোড়া চামড়ায় শসা লাগালে ক্ষতি কমে এবং আরাম সৃষ্টি হয়।

এবার আসি খেজুরের কথায় ৷ ডেক্সট্রোজ এবং ফ্রুক্টোজ হল খেজুরের গুরুত্বপূর্ণ দুইটি শর্করা । যা অতি দ্রুত আপনার শরীরে প্রচুর শক্তি দান করেন । সারাদিনের অভুক্ত পাকস্থলীকে যদি আপনি দুইটি খেজুর দেন তাহলে সে পরিপূর্ণ শক্তির অধিকারী হয়ে যায়। এর কারণ হচ্ছে, এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন A, B কমপ্লেক্স, C এবং K রয়েছে। 

আমরা জানি যে ভিটামিন C এবং K- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে । আবার ভিটামিন B কমপ্লেক্স মস্তিষ্ক শক্তিশালি করে ৷ পাশপাশি ত্বককেও সুন্দর রাখে। গবেষণা বলছে শসা এবং খেজুর একসাথে খেলে আপনার মস্তিষ্কে আপনার শারীরিক সুস্থতার সিগনালটা দ্রুত যাবে । আপনি মেন্টাললি অনেক ফিট হয়ে যাবেন, হতাশা কেটে যাবে ।

এর পাশাপাশি যদি আপনারা দইকে যুক্ত করেন তাহলে আপনার পাকস্থলির পরিবেশ ভালো থাকবে । পিএইচ এর মাত্রা ঠিক থাকবে। দই হচ্ছে একটা প্রোবায়োটিক। দইয়ের মধ্যে ভালো কিছু ব্যাক- টেরিয়া থাকে যা পুরো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়। এমনকি শসা এবং খেজুর একসাথে খেলে যদি কারো গ্যাসের সমস্যা হয় এর সাথে দই যুক্ত করে দিলে বদহজম একবারে স্থায়ীভাবে দূর হবে। 

মনে রাখবেন টক দই খেতে হবে, মিষ্ট দই না। 


 আপনারা প্রত্যেকটা খেজুর থেকে বিচিগুলোকে অপসারণ করবেন ।করে, ছোট ছোট টুকরো করা শসার দুই পশে খেজুরকে যুক্ত করে এক সাথে খেজুর এবং শসা মুখে দিয়ে ভালোভাবে চিবিয়ে খাবেন। আর এর সাথে যদি আপনারা দই খেতে চান তাহলে চাইলে টুকরো টুকরো শসা এবং খেজুরের সাথে দইকে একসাথে মিশিয়ে চামচ দিয়ে খেতে পারেন। 

মনে রাখবেন এই ক্ষেত্রে খেজুর থাকবে এক ভাগ, শসা থাকবে দুই ভাগ এবং সমপরিমাণ দইয়ের সাথে মিশ্রণ করবেন।

তাহলে এটা পারফেক্ট হবে। মনে রাখবেন শসার পরিমান কিন্তু খেজুর থেকে দ্বিগুন হবে । সুনানে আবু দাউদের ৩৯০৩ নম্বর হাদিসে আম্মাজান আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, “আমার মায়ের ইচ্ছে ছিল আমাকে স্বাস্থ্যবতী বানিয়ে রাসূল (সাঃ) এর ঘরে পাঠাবেন । এজন্য তিনি অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন কিন্তু কোন ফল হয়নি। শেষে তিনি আমাকে পাকা খেজুরের সাথে শসা বা খিরা খাওয়াতে থাকলে আমি অতি দ্রুত সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে যাই”। (সুনানে আবু দাউদ: ৩৯০৩)

লেখা ও তথ্য সংগ্রহঃ Sweet Kiran Mandal

👇👇 আরও পড়ুন- 👇👇



Post a Comment

Previous Post Next Post