ইসলাম কি এতই ঠুনকো যে খেলাধুলা দেখা ও খেলাধুলার কারনে আপনি জাহান্নামী হবেন

গোঁড়াদের মতে ইসলাম কি এতই ঠুনকো যে খেলাধুলা দেখা ও খেলাধুলার কারনে আপনি জাহান্নামী হবেন !! 

Qatar world cup vs Islam

এই প্রশ্নটা নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি ও অনুসন্ধান করলাম । চলুন যাই একদম প্রথম পর্যায়ে । 

✅ আপনি কি শুরুর একদম প্রথম পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করেননি,  সুস্থ প্রতিযোগিতা । হাজার হাজার স্পর্মের মধ্যে আপনি জয়ী হয়ে পৃথিবীর আলো দেখলেন । 

✅ সৃষ্টির নিয়ম অনুযায়ী বাচ্চা খেলতে পছন্দ করে । মা-বাবাও তাদের সন্তানের সঙ্গে খেলাধুলায় আনন্দ পায় । 

✅ শিক্ষার উত্তম বিকাশ হল নৈতিক বিকাশ । নৈতিক বিকাশ হয় নৈতিক দ্বন্দ্বের ভিত্তিতে । ভালো ও মন্দের দ্বন্দ্বের মধ্যে দিয়ে নৈতিক বিকাশ হয় । 

✅ খেলা হল একপ্রকার যুদ্ধ । আরতুগুল , উসমানীয় খেলাফত দেখা ও পড়ার সময় দেখেননি যে জাতি যুদ্ধ ছেড়ে দেয় যে জাতি ধ্বংস হয়ে যায় । যুদ্ধ মানে যে ধ্বংস সেটাই নয় । সুস্থ যুদ্ধ মানুষকে বেশি জাগ্রত ও উন্নত করে । 

✅ খেলার মাঠ এমন একটা জায়গা যেখানে আপনি নিয়ম কানুন মানতে বাধ্যে । এবং শিশুর বিকাশ সব থেকে ভাল হয় খেলার মাঠে। এমনকি সমাজের কাজে ও এলাকার সমস্যা সমাধানের কাজে  যারা এগিয়ে আসে লক্ষ্য করবেন হয় তারা খেলোয়াড় অথবা তারা খেলায় যুক্ত ছিল । 


🟥 হ্যাঁ খেলা ধূলায় নিয়ম ও  হারাম বিষয়ও আছে , যেমন 👇🏻👇🏻

🔻 শালীনতা বজায় রাখা : খেলাধুলায় শালিনতা বজায় রাখতে হবে। গালাগালি ও বকাঝকা ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করা যাবে না। জয় পরাজয় নিয়ে যাতে ঝগড়া-বিবাদ,কলহ, শত্রুতার সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে

🔻 জীবনের জন্য ঝুঁকি না হওয়া: এমন কোন খেলাধুলা করা যাবে না যা নিজের জীবন নাস কিংবা প্রবল আহত হওয়ার আশংকা থাকে। আল্লাহ তায়ালা বলেন: তোমরা নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। (সূরা বাকারা: ১৯৫)

🔻 আর্থিক ক্ষতি নিয়ে আসে । 

কারো ক্ষতি না করা: খেলার আওয়াজ বা অন্য কোনভাবে প্রতিবেশি বা অন্য কারো কোন ক্ষতি সাধন না করা।

🔻কবুতর নিয়ে খেলা করা। কবুতর নিয়ে খেলা করা জায়েজ নাই । কেননা এতে কোন উপকার নাই ।আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত তিনি বলেন : রসূলুল্লাহ সা: এক ব্যক্তিকে কবুতরের পিছনে ছুটতে দেখে বললেন : এক শাইত্বান আরেক শাইত্বানের পিছনে ছুটছে। (আবু দাউদ: ৪৯৪০)

🔻 অশালীন পোশাক 

🔻 খেলার নামে সময় অপচয়, যেমন- ভার্চুয়াল গেম। ফ্রি ফায়ার , পাব্জির মত অনলাইন গেম। তাস,জুয়া এগুলোও । 

🔻 নামাজ , শিক্ষামূলক ও অগ্রগতির কাজ  ব্যাহত হয় এমন খেলা। 


অর্থাৎ ইসলামে সেইসব খেলাই জায়েজ যেগুলিতে শারীরিক ও মানসিক বিকাশ রয়েছে । অনেকে বলতে পারেন আয়োজনে অনেক অর্থ অপচয় হয়। হ্যাঁ অপচয় হয় বটে তবুও নির্মাণ ও ব্যবসার জন্য অনেকের রোজগারও হয়। 

🟪তবে এটা ঠিক আমরা যেভাবে অর্থ নষ্ট করে টিম করছি সেটা হারামের দিকেই চলে যাবে।🔴


🟩 আল্লাহ্‌ আমাদের সঠিক বোঝার ও আমল করার তৌফিক দান কারুন। ♥️

Post a Comment

Previous Post Next Post