আজ থেকে 110
বছর আগে ঘটে যাওয়া এমন একটা মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, সেটা সম্পূর্ণ দুনিয়াকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। বন্ধুরা আমি দুনিয়ার সবচেয়ে
বড় জাহাজ "টাইটানিক জাহাজ" ডুবে যাওয়ার কথা বলছি।
Secret Truth about The Titanic is Revealed |
কিন্তু আপনি কি জানেন? টাইটানিক জাহাজ ডুবে যাওয়ার জন্য যে কারণ দেখানো হয়েছিল বিশ্ববাসীর সামনে, সেটা ছিল বরফের সাথে ধাক্কা খেয়ে লাগার ফলে পানি ঢুকে যায়। আর তারপর টাইটানিক ডুবে যায়। কিন্তু এই কাহিনীটি সম্পূর্ণ মিথ্যে।
তাহলে
টাইটানিক জাহাজ ডুবে যাওয়ার আসল কারণ কি? কী কারণে টাইটানিক জাহাজ ডুবে
গেলো। এর পেছনে সত্য ঘটনা এটাই বাকি ছিল টাইটানিক জাহাজ ডুবে
যাওয়ার আসল কারণ নিয়ে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ইদানিং পাওয়া যাচ্ছে। যা শত বছর ধরে আমাদের কাছে লুকানো হয়েছিল। তো
বন্ধুরা সম্পূর্ণ ব্লগে আলোচনা করা হবে টাইটানিক জাহাজ ডুবে
যাওয়ার আসল কারণ।
আপনিতো
কখনো জানেন
নি তাই সকলের কাছে অনুরোধ ব্লগটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য। টাইটানিক এটা এমন এক ধরনের জাহাজ, যেটা সেসময়কার দুনিয়ার সবচেয়ে বড় এবং লাক্সারি
বলে জানা যায়। এই লাক্সারি জাহাজ
বানানোর জন্য কঠিন পরিশ্রম করতে হয়েছে। 8 মিলিয়ন ডলার যেটা বর্তমান সময়ের 150 মিলিয়ন
ডলারের চেয়েও বেশি মূল্যের অর্থ টাইটানিক জাহাজ বানানোর ক্ষেত্রে ব্যায় করা হয়েছে। আর কয়েক কোটি
মানুষ সেখানে যাওয়া স্বপ্ন ছিল।
কিন্তু
এ সব কিছুই ভেঙে চুরমার হয়ে যায় যখন 14 ই এপ্রিল 1912
সালের কালো রাত্রিতে একটা আইসবার্গের সাথে
ধাক্কা লাগার ফলে আটলান্টিক মহাসাগরে বরফের পানিতে টাইটানিক দ্রুত ডুবে যায়। শুধুমাত্র দুই ঘণ্টার ভেতরে সেই
জাহাজের নাম নিশান সবকিছুই ডুবে যায়। তাদের ভেতরে থাকা 2228
জলের ভেতরে, ভাগ্যক্রমে বেঁচে ছিল মাত্র 712
জন লোক। তাদের এমন ভয়ঙ্কর দিনটির কথা তাদেরকে
এখনো ভাবিয়ে তোলে। এই দুর্ঘটনাটি বর্তমান যুগে এই ভয়ঙ্কর
দিনটির কথা ভাবলেই ভয় পেয়ে ওঠে। বিশেষ করে আমেরিকানরা যে
সকল পরিবার ছিল টাইটানিকের উপরে। আজ পর্যন্ত শত শত আর্টিকেল লেখা হয়েছে। যেখানে সেই
ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা সকলের সামনে তুলে ধরা হয়েছিল। আর কিছু
ফিকশন কিছু কিছু লোক ছিল, যারা রাতারাতি সুপারহিরো হয়ে
উঠেছিল। আবার কিছু কিছু লোকের ওপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া
হয়েছিল।
কিন্তু
আসলে ওই রাতে কি হয়েছিল? এত বড় জাহাজ শুধুমাত্র একটা আইসবার্গের সাথে ধাক্কা
লাগার ফলে এক নিমিষে কিভাবে ডুবে যেতে পারে? জাহাজের
দায়িত্বে থাকা লোকদের দুর্নীতিবাজ বলা হয়। আসলে কি তারা
যাদের সাথে দুর্নীতি করেছিল? নাকি এটা তাদের দুর্ভাগ্য ছিল?
100 বছর ধরে আমরা এটাই জেনে আসছি যে টাইটানিক একটা আইসবার্গের সাথে ধাক্কা
লাগার ফলে ডুবে গিয়েছিল। কিন্তু আপনি একটু ভেবে দেখুন এই জাহাজটি
বানাতে ব্যবহার করা সকল টেকনোলজি ছিল একদম লেটেস্ট। পিক গুলো
ছিল অনেক শক্তিশালী। তাহলে শুধুমাত্র একটা আইসবার্গের সাথে
ধাক্কা লাগার ফলে টাইটানিক কিভাবে ডুবে গেল?
বিশ্ববাসীর
সামনে ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে। সেটা হল টাইটানিক ডুবে যাওয়ার আসল কারণ আইসবার্গ
নয় বরং জাহাজে কাজে লাগানো আগুন ছিল। টাইটানিক জাহাজ সমুদ্রে যাবার পূর্ব থেকেই ধীরে ধীরে জাহাজের এর
বেস্মেন্টে লাগানো আগুন ধীরে ধীরে জাহাজের এক পাশ পুড়িয়ে
দিচ্ছিল। এর কিছু প্রমাণ হলো- যাবার পূর্বে এই
ছবিটা একটু ভালোমতো লক্ষ্য করলে আপনি দেখতে পাবেন
একটা বড় ব্ল্যাকহোল জাহাজের এক পাশে দেখা যাচ্ছে। যখন একজন জার্নালিস্ট এই ছবিটি দেখে তখন টাইটানিক নিয়ে আসে আরো বেশি রিসার্চ করতে থাকে। আর সার্চ করে তিনি রিপোর্ট তৈরি করেন যে, টাইটানিক জাহাজ ডুবে যাওয়ার আসল কারণ আগুনের তাপে। এই আগুনের তাপ এতটাই বেশি ছিলো যে অনবরত জ্বলতে জ্বলতে জাহাজের একপাসে কালো রঙের ব্যাকহোল তৈরি করে ফেলেছে। সেই আগুন বেসমেন্টের বেলটা 90% দুর্বল করে দিয়েছিল। আর দুর্ভাগ্যবশত কাকতালীয়ভাবে সেই জায়গাটাতেই বরফের ধাক্কা লাগে। যেখানে আগুন ছিল সেখানকার কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে, সেই অংশটুকু সম্পূর্ণরূপে ভেঙে যায়। যার কারণে টাইটানিক ডুবে গিয়েছিল। এখানে আশ্চর্যজনক একটা বিষয় হল যারা টাইটানিক প্রজেক্টে ইনভ্লব ছিল। তারা জাহাজের ভিতর আগুন এর ব্যাপারে সব কিছুই জানত তারা। এটাও জানত যে এই আগুনের কারণে টাইটানিকের ভেতরে থাকা প্যাসেঞ্জারের বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু যতক্ষণ কর্তৃপক্ষ জানতে পারে এই আগুনের কথা ততক্ষনে জাহাজের সকল টিকিট বিক্রি হয়ে যায়।
এমন
সিচুয়েশনে যদি জানা থাকতো তাহলে সেই কোম্পানির অনেক বড় লস হয়ে যেত এ কারণেই
অথরিটি চুপ থাকাটাই শ্রেয় বলে মনে করেন। যাতে না জানতে পারে তাই জাহাজটিকে বাঁকা
করে রাখা হয়েছিল যাতে আগুনের তাপে তৈরি হওয়া দাগ যেন কোন প্যাসেঞ্জার না দেখতে
পারে।
শুধুমাত্র আগুন না এর কিছু কারণ রয়েছে যার কারণে টাইটানিক জাহাজ ডুবে গিয়েছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রধান এবং মূল কারণ হলো জাহাজে বাইনোকুলার না থাকা। বর্তমানে বিভিন্ন যে আপনারা দেখবেন কিছু লোক নিয়ে সবসময় চার দিকে নজর রাখে। আর সামনে কোন বিপদ থাকলে সেটা সময়ের পূর্বে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু এরকম টাইটানিকের হয়নি। এখন আপনি হয়তো ভাবছেন এত বড় জাহাজে কেন বাইনাকুলার থাকবে না। আসলে টাইটানিক জাহাজের বাইনোকুলার ছিল। কিন্তু সেটা অফিসারদের কাছে ছিল। বিধায় এটা একটা লকারে আটকানো ছিল। এই লকারের চাবি ডেভিড ব্লেয়ার নামক এক অফিসারের কাছে ছিল। যাকে জাহাজ ছাড়ার লাস্ট মিনিট পূর্বে রিপ্লেস করে দেওয়া হয়েছিল। আর দুর্ভাগ্যবশত ডেভিড হেয়ার রিপ্লেসমেন্ট অফিসারের কাছে চাবিটি থেকে যায়। আর এই বিষয়টি জানানোর তিনদিন পর তারা জানতে পারে সেই রাতে যদি আগে থেকেই বাইনোকুলার ব্যবহার করা হতো তাহলে আগেই বরফ দেখতে পেত আর এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারত।
আর
এই ট্রাজেডিটা হতোই না। কিন্তু শিপ চালানে ওয়ালা অফিসারদের ভয় এবং
পেনিকের একটা উল্লেখযোগ্য কারণ হতে পারে, টাইটানিক জাহাজ ডুবে যাওয়ার জন্য। যখন জাহাজে
স্টেয়ার কারনে ওয়ালা অফিসার রবার্টসকে আইসবার্গের খবর পায়,
তখন সে অনেক বেশি ঘাবড়ে যায়। যার ফলে
জাহাজ কে সে উল্টো দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। সেই সময়ে এর
জন্যই কনফিউশন তৈরি হয়েছিল। কেননা সেই যুগের জাহাজ চালানোর দুটো প্রক্রিয়া ছিল। একটা হচ্ছে টিলেনে অর্ডার। আর একটা হচ্ছে
রাডার অর্ডার অনুসারে। একটা জাহাজকে ডান দিকে
মোড় ঘোরানোর জন্য বাদীকে স্টিয়ারিং ঘোরাতে হয়।
আর
টাইটানিক শিপ অর্ডার অনুসারে চলত। কিন্তু বেশি দ্রুত এবং ঘাবড়ে যাওয়ার ফলে
মনে করে ভুল দিকে ঘুরিয়ে ফেলে। ফলে জাহাজ থেকে দূরে যাওয়ার
বদলে সরাসরি বরফের সাথে ধাক্কা খায়। আর এই
সিচুয়েসেনে জাহাজ ডুবে যায়। তারপর এখানে আরো
কিছু থাকলে হয়তো সেদিন রাতে এতগুলো মানুষের মৃত্যু হতো না।
এত বড় জাহাজের জন্য মিনিমাম ৬০ টি লাইফবোট রাখা উচিত ছিল।
কিন্তু টাইটানিকের বিল্ডার এখানে শুধু মাত্র 48 টি বোট লাগানোর ক্যাপাসিটি তৈরি করেছে। কিন্তু এরপরেও
টাইটানিক কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র ২০টি নিয়ে যাত্রা শুরু করে।
কেননা 48 বোট লাগালে জাহাজ দেখতে অসুন্দর লাগবে। তারপর ইমার্জেন্সি লাইফবোট গুলো কিভাবে উপর থেকে
নিচে নামাবে, সে বিষয়ে কিছু অভিজ্ঞতা ট্রেনিং দেওয়া হয়। সেই ট্রেনিংয়ের দিন ছিল সেই দিন যেদিন টাইটানিক জাহাজ যাত্রা শুরু। তাই জাহাজের ক্যাপ্টেন সেটাকে ক্যান্সেল করে দেয়।
একটা
জাহাজ থেকে লাইফবোট নামাতে সর্বোচ্চ 10 মিনিট
সময় লাগবে। কিন্তু কারো কোন অভিজ্ঞতা না থাকার ফলে সে লাইফবোট
গুলি নামাতে 30 মিনিটের
বেশি সময় লেগেছিল। এখানেই শেষ নয় প্রায় 35 জন ছিল। কিন্তু সেখানে প্রথমদিকে শুধু মাত্র 27
জন করে বসিয়ে নামানো হয়েছিল। এভাবে ছোট ছোট
ভুল সেদিন অনেকগুলো প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল।
আসলে
সেদিনকে উপরওয়ালা
চাই যে জাহাজ ধ্বংস হয়ে যাক। তা না হলে
এতগুলো গুলো ভুল একসাথে মানুষ কিভাবে করে? যাদের এক পাশে আগুন লেগে পড়ে গিয়েছে তবুও সেটা ঠিক না করেই অর্থের লোভে
জাহাজ ছেড়ে দেওয়া।
জাহাজে
লাইভ বোর্ড 48 টি ক্যাপাসিটি থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র ২০টি লাইফ
নিয়ে যাওয়া।
লাইভ
বোর্ড নামানেওয়ালা এক্সপার্টদের ট্রেনিং ক্যানসেল করে দেওয়া।
বরফের
সাথে একই জায়গায় ধাক্কা লাগা।
এ
সকল কিছু একসাথে করলে দেখা যায় সেদিন মানুষের ভাগ্য টাই ভাল ছিল না। তবে
কিছু মানুষের বড় দুর্নীতি এবং ধোকা দেওয়ার জন্য সেদিন এত
বড় দুর্ঘটনা ঘটে। ছোট করে দেখা যাবে না কেননা এই ছোট বড়
দুর্ঘটনা ঘটেছে।