টেস্টোস্টেরোন বাড়ানোর উপায় কী? টেস্টোস্টেরন বাড়ায় যেসব খাবার

টেস্টোস্টেরোন বাড়ানোর উপায় কী? টেস্টোস্টেরন বাড়ায় যেসব খাবার।

 

how to increase testosterone production


এই হরমোনের বিপর্যয় হলে পুরুষের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। বয়স ত্রিশ পেরোনোর পর পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ কমতে শুরু করে। ফলে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের পাশাপাশি কামবাসনা কমে যাওয়া, লিঙ্গোত্থানে সমস্যা, খারাপ মেজাজসহ মনোযোগের অভাব দেখা দেয়।
তবে "এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত কিছু খাবার খাওয়ার অভ্যাস করলেই উপকৃত হওয়া যায়।
পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে টেস্টোস্টেরন হরমোন নিঃসরণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সাহায্য করে এমনই কিছু খাবারের নাম উল্লেখ করা হয়। এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত খাবারগুলোর নামগুলো হলঃ"


টেস্টোস্টেরোন বাড়াতে মাছের উপকারিতা:

মাছ প্রাকৃতিক উত্স এসব অমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, যা টেস্টোস্টেরনের নিঃসরণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।


টেস্টোস্টেরোন বাড়াতে কাজু বাদামের উপকারিতা:

কাজু বাদাম একটি ভাল উৎস জিংক, যা টেস্টোস্টেরনের নিঃসরণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যকর পরিবার্তনেও সহায্য করে।

অক্সিজেন রিচ ফল: অক্সিজেন রিচ ফলসমূহ যেমন আম, পেঁপে, কমলা, আরও ভাল উৎস ভিটামিন সি, যা টেস্টোস্টেরনের নিঃসরণ বৃদ্ধি করে এবং স্বাস্থ্যকর পর

 

টেস্টোস্টেরোন মধুর বাড়াতে উপকারিতা:

মধুতে আছে প্রাকৃতিক নিরাময়কারী উপাদান বোরোন। এই খনিজ উপাদান টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বাড়াতে এবং নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা ঠিক রাখে। যা ধমনী সম্প্রসারণ করে লিঙ্গোত্থানে শক্তি সঞ্চার করে।

 

টেস্টোস্টেরোন বাঁধাকপির বাড়াতে উপকারিতা:

এই সবজিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। এটি স্ত্রী হরমোন ওয়েস্ট্রজেনের পরিমাণ কমিয়ে টেস্টোস্টেরন বেশি কার্যকর করে তোলে। এর মধ্যে ইন্ডোল থ্রি-কার্বিনল নামক একটি উপাদান থাকায় এটি স্ত্রী হরমোন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সবজির খাবারে থাকা ইন্ডোল থ্রি-কার্বিনল মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে। তাছাড়া, এই সবজি স্ত্রীদের হরমোনাল ব্যালান্সও বাড়ানোর জন্য সাহায্য করতে পারে। এর মাধ্যমে স্ত্রীদের স্বাস্থ্য ও কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই সবজি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।


টেস্টোস্টেরোন বাড়াতে রসুন এর উপকারিতা:

রসুনের আলিসিন যৌগ মানসিক চাপের হরমোন করটিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে টেস্টোস্টেরন ভালোমতো কাজ করে। ভালো ফল পেতে রসুন কাঁচা খাওয়ার অভ্যেস করুন।

টেস্টোস্টেরোন বাড়াতে  ডিমের উপকারিতা:

ডিমে আছে একটি বিশাল খাদ্য সম্পদ। এটি স্যাচারেইটেড ফ্যাট, ওমেগা থ্রিএস, ভিটামিন ডি, কলেস্টেরল এবং প্রোটিন সম্পন্ন। এই উপাদানগুলো টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরির জন্য জরুরি এবং একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য।

স্যাচারেইটেড ফ্যাট হল একটি উন্নত ধরনের ফ্যাট যা খাদ্য পদার্থগুলিতে থাকে এবং শরীরে রক্ত চরম ক্লেশ সৃষ্টি করে। একটি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য, আমাদের স্যাচারেটেড ফ্যাট সীমাবদ্ধ করা উচিত।

ওমেগা থ্রিএস হল একটি উন্নত ধরনের ফ্যাট যা খাদ্য পদার্থগুলিতে থাকে। এই ফ্যাটগুলি শরীরের কোষপাতি তৈরি করে এবং হৃদয় স্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়তা করে।

ডিমে ভিটামিন ডি থাকে যা অতিরিক্ত আলোক পরবর্তীতে ভিটামিন ডি তৈরি করে। এটি হল সম্ভবত সবচেয়ে উত্তম উৎস ভিটামিন

টেস্টোস্টেরোন বাড়াতে কলার উপকারিতা:

এই ফলের ব্রোমেলেইন এনজাইম টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। আর দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি সরবরাহের উৎস হিসেবে কাজ করে।


কাঠবাদাম

নারী এবং পুরুষ উভয়ের সেক্স ড্রাইভয়ের জন্য প্রতিদিন এক মুঠ কাঠবাদাম যথেষ্ট। এই বাদামে রয়েছে জিঙ্ক যা টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ায় আর কামবাসনা বৃদ্ধি করে।


টক ফল

স্ট্রেস হরমোনকমানোর পাশাপাশি টকজাতীয় ফলে রয়েছে ভিটামির এ। যা টেস্টোস্টেরন উৎপন্ন করতে প্রয়োজন হয়। এছাড়া ওয়েস্ট্রজেনের মাত্রা কমায় অর্থাৎ পুরুষ হরমন ভালোমতো কাজ করতে পারে।


পালংশাক

এটা প্রমাণিত যে, ওয়েস্ট্রজেনের মাত্রা কমাতে পারে এই শাক। তাছাড়া আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি এবং ই। আর এসবই টেস্টোস্টেরন তৈরির উপাদান।


মাংস

বিশ্বাস করা হয় যারা একেবারেই মাংস খান না তাদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ কম থাকে। তবে অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার আগে সাবধান। যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান গরু ও ভেড়ার মাংস দিয়ে তৈরি খাবারে প্রচুর স্যাচারেইটেড ফ্যাট থাকে।
 
যদিও নানা কারণে অনেক পুরুষেরই টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। এ সব ক্ষেত্রে অনেকেই হরমোন ইনজেকশন বা ওষুধের সাহায্য নেন। কিন্তু স্বাভাবিক উপায়েই এই হরমোনের ক্ষরণ বাড়ানো যায়।

 

জেনে নিন কিভাবে শরীরে এই হরমোনের ক্ষরণ বাড়ানো যায়।

১। ওজন কমান: ওজন খুব বেড়ে গেলে বা শরীরে মেদ জমলে পুরুষের টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ বিপুল ভাবে কমে যায়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট শুরু করুন। শরীর চাঙ্গা থাকলে এই হরমোনের ক্ষরণও বাড়বে।

২। রোদে থাকুন: ভিটামিন ডি-র অভাবে টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ কমে যেতে পারে। যে সব মাছে ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণে আছে, সে সব মাছ রোজের ডায়েটে রাখুন। পাশাপাশি রোদে সময় কাটালে শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব পূরণ হয়। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সাপ্লিমেন্ট নিন।

৩। মদ্যপান এবং ধূমপানে লাগাম: বেশি মদ্যপান করলেও টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ কমে। ধূমপানে ক্ষতি হয় আরও বেশি। ফলে এগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ আনা বা এগুলি সম্পূর্ণ ছেড়ে দেওয়া দরকার। তবেই যৌনজীবন সুখকর হবে।

৪। মনের চাপ কমান: মনের উপর চাপ বাড়লে, বা শান্তি কমে গেলে টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ অনেক কমে যায়। ক্লান্তি দূর করতে, যৌনজীবন সুস্থ রাখতে মন ভাল রাখা দরকার। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে হতে পারে। একটানা একই কাজ করতে করতেও ক্লান্তি আসে, তাই কাজের মাঝে বিরতি নিন।

৫। পর্যাপ্ত ঘুম ও শরীরচর্চা: শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলেও এই হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। তাই রোজ টানা ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার ঘুম ভীষণ প্রয়োজন। ভারী শরীরচর্চা বা ওয়েট ট্রেনিংও এই হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।


 এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি আপনার বন্ধুদের সেয়ার করতে ভুলবেন না। নিচে হোয়াটস বাটনে ক্লিক করে সেয়ার করুন।

1 Comments

  1. This comment has been removed by a blog administrator.

    ReplyDelete
Previous Post Next Post