২০০০ টাকা কেন বাতিল হলো? নরেন্দ্র মদির কি আগের প্ল্যান? জানুন ভয়ঙ্কর সত্যিটা www.jotosob.in

২০০০ টাকা কেন বাতিল হলো? নরেন্দ্র মদির কি আগের প্ল্যান? জানুন ভয়ঙ্কর সত্যিটা 



বাতিল হতে চলছে ২০০০ টাকার নোট ! কেন বাতিল হচ্ছে সেই ভয়ঙ্কর সত্যি কথাটা আপনাকে কেউ বলবে না। তবে আজকের খবরে আমরা কথা কথা বলবো সেই বিষয় নিয়ে। ঠিক কী কারণে এত ধুমধাম করে ২০০০ টাকার নোট বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছে।

 R.B.I , এর নির্দেশ 30 সেপ্টেম্বরের ২০২৩ সালের মধ্যে সমস্ত ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা দিতে হবে। সেটা আমরা সকলেই ইতি মধ্যে জেনে গেছি। কিন্তু কেন বাজারে ছড়িয়ে থাকা 6 লক্ষ কোটি টাকা 2000 টাকার নোট নিয়ে R.B.I রাত্রের ঘুম উড়ে গেছে। জানেন ? 

চলুন ফিরে যায় 2016 সালে।  মনে করে দেখুন সেই সময় প্রতিদিন নালা নর্দমা থেকে 500 ও 1000 এর বান্ডিল বান্ডিল নোট উদ্ধার হতো। পুরোনো নোট জমা দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ কে দিন-রাত এক করে লাইনে দাড়াতে হত।  লাইনে দাঁড়ানোর  ধকল সহ্য করতে না পেরে মৃত্যও হয়েছিল বেশ কয়েকজনের।

তাই সাধারণ মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন। আবার কি সেই দিন ফিরে আসতে চলেছে, ২০০০ টাকার নোট যে বাতিল হতে চলেছে সে রকম একটা আভাস দিয়ে রেখেছিল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া।

আচ্ছা আপনি বলুনতো শেষ কবে দোকানে গিয়ে আপনি দোকানদারের হাতে ২০০০ টাকার নোট ধরিয়েছেন ?

বর্তমানে অনেকেই এমন রয়েছেন যারা শেষ কবে ২০০০ টাকার নোট হাতে নিয়ে ছিলেন তা মনে করতে পারছেন না! দেশে ২০০০ টাকার নোট  যাওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে R.T.I অর্থাৎ RIGHT TO INFORMATION কেস ফাইল করেন এক আইনজীবী।

এই  R.T.I থেকে উঠে আসে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকার তথ্য, এই তথ্য থেকে জানা যায় 2019 সালের পর থেকে নতুন করে আর 2000 টাকার নোট ছাপানো হয়নি। 2016 সাল 2000 টাকার নোট বাজারে আসার পর থেকে  জাল ২০০০ টাকার নোটের সংখ্যা বেড়েই চলেছিল। Right to information পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায় 2016 থেকে 2020 সালের মধ্যে দেশে 2000 টাকার জাল নোটের সংখ্যা 2272 থেকে বেড়ে হয়েছে 2 লক্ষ 44 হাজার 834টি ।

এত বিপুল সংখ্যার জাল নোট আমাদের দেশের অর্থনীতি জন্য দারুন ক্ষতিকর । এদিকের প্রথম কয়েক বছর 2000 টাকার নোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকলেও ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের 2000 টাকার নোটের প্রতি আগ্রহ কমেছে বলেই জানা যাচ্ছে। এর কারণ একটাই খুচরো ভাঙানো সাধারণ ক্রেতাদের মতে 300 থেকে 400 টাকার বাজার করার পরেও 2000 টাকার খুচরো দিতে অস্বীকার করে দোকানদাররা , এইদিকে দোকানদারদের পালটা দাবি, আমরাই বা এত খুচরো পাবো কোথায় ?

তাছাড়া The monitization এর পরে অনলাইনের  ব্যবহার যথেষ্ট বেড়েছে। পাঁচ টাকার লজেন্স কিনলেও দোকানদারকে টাকা পাঠাচ্ছেন অনলাইনে ক্রেতার। মোদ্দা কথায় ২০০০ টাকার  নোটের, প্রতি আর কোনো ইন্টারেস্ট  নেই সাধারণ মানুষের।

সেই কারণেই বাজারে ঘুরে, বেড়ানো 6 লক্ষ 73 হাজার কোটি  টাকা তুল নিতে -চাইছেন রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া । এবার প্রশ্ন 2000 টাকার নোট বাতিল, হওয়ার ফলে কি কি ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়ানোর। সেই ভয়াবহ স্মৃতি  ফিরে আসবে ?

একটা ছোট্ট পরিসংখ্যান দিলে আপনি হয়ত নিজে বুঝতে পারবেন

বর্তমানে ভারতের বাজারে যতসংখ্যাক 2000 টাকার নোট রয়েছে তার মূল্য 6 লক্ষ 79 হাজার কেটি টাকা আর নোট ব্যানের সময় 500 থেকে 1000 টাকা নোট মিলিয়ে এই সংখ্যা ছিল। 14 লক্ষ কোটি টাকার ও বেশি । সুতরাং অযথা আতঙ্কিত হবেন না । আর সব থেকে থেকে বড় কথা গুজব ছড়াবেন না । 

Post a Comment

Previous Post Next Post