রাজ্যে মাদ্রাসায় শিক্ষক, ক্লার্ক, গ্রুপ-ডি ও লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ- Recruitment of Teachers, Clerks, Group-D and Librarians in Madrasas
প্রায় বছর পর রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে বিভিন্ন পদে বেশ কয়েক হাজার নিয়োগ হতে চলেছে। এই মর্মে গত ১৯ এপ্রিল একটি গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশিত হয়, যেখানে নিয়োগ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় যেমন- যোগ্যতা, নিয়োগ প্রণালী, ইন্টারভিউ বোর্ডের ফর্মেশন, প্যানেল, বদলী, লিখিত মেন ও ইন্টারভিউ পরীক্ষার নম্বর বিভাজন ইত্যাদি নিয়ে নিয়মাবলী লিপিবদ্ধ আছে। তারই ফলশ্রুতিতে গত ৪ মে ওয়েস্ট বেঙ্গল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন সপ্তম স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট (অ্যাসিস্টান্ট টিচার) বা সেভেনস্ এস.এল.এস.টি (এ.টি)-এর নোটিশজারি করে। নিয়োগের প্রথম পর্যায়ে এডেড মাদ্রাসাগুলিতে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ১৭২৯ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এছাড়াও টেট (অ্যাডভান্স অ্যারাবিক, অ্যারাবিক মাদ্রাসা এবং অ্যারাবিক ইউ.জি) পরীক্ষাও নেওয়া হবে।
১২ মে থেকে অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ শুরু হবে, চলবে ১২ জুন ২০২৩ পর্যন্ত। পরীক্ষা পদ্ধতি সিলেবাস, যোগ্যতা সহ বিশদ তথ্য কমিশনের www.wbmsc.com ওয়েবসাইটে ১২ মে থেকে উপলব্ধ থাকবে।
যে সব পদগুলিতে ধাপে ধাপে নিয়োগ হবে তা হল-
প্রধান শিক্ষক,
সুপারিনটেনটেল্ড,
সহকারী শিক্ষক (বিভিন্ন বিষয়ে ও বিভিন্ন স্তরে) ইত্যাদি।
লাইব্রেরি সায়েন্সে ন্যূনতম ১ বছরের ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা থাকলে গ্রাজুয়েটরা লাইব্রেরিয়ান পদে আবেদন করতে পারবে। যারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত (বি.এড/ ডি.এল.এড) নয় তাদের জন্যও রয়েছে দুটি পদে প্রচুর চাকরি। মাধ্যমিক বা সমতুল পাশ ছেলেমেয়েদের কম্পিউটারের ওপর ১ বছরের ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা করা থাকলে ক্লার্কের পদে আবেদন করতে পারবে।
তাদের কম্পিউটারের জ্ঞান, চালানোর দক্ষতা ও টাইপিং জানা দরকার।
এই পদের জন্য বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। সংরক্ষিত প্রার্থীরা রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বয়সের উর্দ্ধসীমায় ছাড় পাবে।
এছাড়াও গ্রুপ-ডি (ল্যাব অ্যাসিস্টান্ট সহ) পদে প্রশিক্ষনহীন ছাত্রছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে।
মাধ্যমিক বা সমতুল পাশ ছেলেমেয়েদের বয়স ১৮ থেকে ৪০ এর মধ্যে হলে এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবে।
আগের মতো এখানেও সংরক্ষিতদের বয়সের ছাড় আছে।
এই পদের লিখিত মেন পরীক্ষাটি হবে ৯০ নম্বরের, ইন্টারভিউয়ে থাকবে ১০ নম্বর। মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে সফলদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হবে।
ক্লার্ক, গ্রুপ ডি প্রভৃতি শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমে একটি এমসিকিউ টাইপের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা থাকবে। এই পরীক্ষায় পাশ করলে মেন পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাওয়া যাবে। এমসিকিউ টাইপের এই পরীক্ষাগুলিতে নেগেটিভ মার্কিং থাকতে পারে। প্রয়োজনে কমিশন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ন্যূনতম কোয়ালিফাইং মার্কস নির্ধারন করতে পারে।
ক্লার্কের ক্ষেত্রে পরের পর্যায়ে থাকবে এমসিকিউ টাইপের ৭০ নম্বরের মেন পরীক্ষা, শেষে ১০ নম্বরের কম্পিউটার টাইপিং এবং ১০ নম্বরের কম্পিউটার প্রফিশিয়েন্সির পরীক্ষা। গ্রুপ-ডি এর পদগুলির মধ্যে রয়েছে পিওন, মেট্রন, ল্যাব অ্যাসিস্টান্ট, নাইট গার্ড ইত্যাদি। এই পদের জন্য প্রিলিমের পরের পর্যায় হল ৯০ নম্বরের এমসিকিউ টাইপের লিখিত পরীক্ষা, শেষে ১০ নম্বরের ইন্টারভিউ।
ক্লার্ক এবং গ্রুপ-ডি পরীক্ষার সিলেবাস (প্রিলি হোক বা মেন) মোটের ওপর একই হয়। রিক্রটমেন্ট বোর্ড এবং ডিপার্টমেন্ট ভেদে প্রশ্নের সংখ্যা কিংবা দু’একটি বিষয়ের সামান্য হেরফের হয়। ক্লার্ক ও গ্রুপ-ডি এর ক্ষেত্রে সাধারণত প্রশ্ন আসে ইংরেজি, অংক, জিআই, জেনারেল স্টাডিজ- এই চারটি বিষয় থেকে। জেনারেল স্টাডিজের বিষয়গুলি হল ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ইত্যাদি। এ ছাড়াও সংবিধান, অর্থনীতি এবং পরিবেশ থেকে দু' একটি করে প্রশ্ন আসতে পারে। এই দুটি পদের মেন পরীক্ষায় ওই সমস্ত বিষয়ের পাশাপাশি বাংলা বিষয়ের প্রশ্ন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।